
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের নিয়ম সঙ্গে সৌর বিদ্যুৎ পদ্ধতি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ নতুন নিয়ম জারি করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্থাপন সহজ হয়ে গেছে। নেট মিটারিং সিস্টেম এবং রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপনের বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল বিদ্যুৎ সংযোগের পদ্ধতি সহজ করা। এছাড়াও, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। আবেদনকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় সমীক্ষা ও অনুমোদন প্রক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সংযোগের জন্য বিশেষ নির্দেশনা যোগ করা হয়েছে।
প্রধান বিষয়সমূহ
- নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন প্রক্রিয়া সহজীকরণ
- রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপনের নির্দেশিকা
- নেট মিটারিং সিস্টেমের বিস্তারিত নিয়মাবলী
- আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য পৃথক নির্দেশনা
- বিদ্যুৎ সংযোগের জামানত ও খরচের হিসাব
- লাইন নির্মাণ ও মিটার স্থাপনের নিয়মাবলী
- পাওয়ার ফ্যাক্টর ও ক্যাপাসিটর ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের নিয়ম
বিদ্যুৎ সংযোগের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি সহজ হয়ে যায়। প্রথমে বিদ্যুৎ বিভাগের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় নথি লাগবে।
নতুন সংযোগের আবেদন প্রক্রিয়া
আবেদন করার পর ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- জমির দলিল
বিদ্যুৎ সংযোগের প্রক্রিয়া শুরু করতে অনলাইন আবেদন করতে হবে। সফল পর্যালোচনার পর নির্দিষ্ট হারে জামানত জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বিভিন্ন ধরনের সংযোগের জন্য আলাদা নিয়ম রয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অনুমোদন লাগতে পারে। সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য বিশেষ সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
সমীক্ষা ও অনুমোদন প্রক্রিয়া
সদস্য সেবা বিভাগ আবেদন পর্যালোচনা করে। সাধারণত সার্ভিস লাইনের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুটের বেশি হয় না। জামানতের পরিমাণ গ্রাহকের ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। যেমন:
- এলটি-ডি১: ৯৬০ টাকা
- এলটি-এ: ২ কিলোওয়াট পর্যন্ত ৪৮০০ টাকা
- এলটি-আই: ৯৬০ টাকা
অনুমোদনের পর বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে মিটার ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করে। সঠিকভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া সহজ হয়।
সোলার সিস্টেম সংযোগের নতুন নীতিমালা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সৌর বিদ্যুৎ নিয়মাবলী সংশোধন করেছে। নতুন নীতিমালায় রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপন ও নেট মিটারিং সংক্রান্ত বিধানগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।
গত বছর ৭ নভেম্বর থেকে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে নতুন সংযোগ দেওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে ১২ মে থেকে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম খান ২০১৩ সালে ঢাকায় সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি পরিচ্ছন্ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন।
তবে ২০১৪ সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন গ্রাহক শ্রেণি, বিশেষ করে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আমাদের দেশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এটি পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই উন্নয়নে সহায়ক।
নতুন নীতিমালায় মিটার স্থাপনের ক্ষেত্রে আগের কঠোর নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। এটি গ্রাহকদের জন্য রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপন সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবাসিক গ্রাহকদের জন্য সৌর বিদ্যুৎ নিয়মাবলী
সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এখন গৃহস্থালী বিদ্যুৎ সংযোগের একটি জনপ্রিয় বিকল্প। বিদ্যুতায়িত গৃহে সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলতে হয়।
ছাদের স্থান সম্পর্কিত নির্দেশনা
সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য ছাদে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা আবশ্যক। সাধারণত ১ কিলোওয়াট ক্ষমতার প্যানেলের জন্য ১০০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। ছাদের উপর কোনো ছায়া না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সিঙ্গেল ও থ্রিফেজ সংযোগের শর্তাবলী
ঘরোয়া বিদ্যুৎ সরঞ্জামের ধরন অনুযায়ী সিঙ্গেল বা থ্রিফেজ সংযোগ নেওয়া যায়। ৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত সিঙ্গেল ফেজ এবং তার উপরে থ্রিফেজ সংযোগ গ্রহণ করতে হয়। থ্রিফেজ সংযোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হয়।
প্যানেল স্থাপনের টেকনিক্যাল বিবরণ
সৌর প্যানেল স্থাপনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে:
- প্যানেলের ইনভার্টার ক্ষমতা লোডের সাথে মিল রাখতে হবে
- বাড়ি বিদ্যুতায়নের খরচ কমাতে উচ্চ দক্ষতার প্যানেল ব্যবহার করতে হবে
- প্যানেলের ঢাল ২৫-৩০ ডিগ্রি রাখতে হবে
- বৈদ্যুতিক তার ও সংযোগ নিরাপদ হতে হবে
এই নিয়মগুলি মেনে চললে আপনার বাড়িতে নিরাপদে ও দক্ষতার সাথে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। সঠিক পদ্ধতিতে স্থাপন করলে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হবে।
বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সৌর বিদ্যুৎ নিয়ম
বাণিজ্যিক এবং শিল্প সংযোগের জন্য সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জন্য নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো বিদ্যুৎ উপভোক্তাদের অধিকার রক্ষা করে। এছাড়াও, এটি বিদ্যুতের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে।
নতুন আবেদনকারীদের সিঙ্গেল ফেজ সংযোগের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হয়। থ্রি ফেজ সংযোগের জন্য এই ফি ৩৬০ টাকা। মিটার স্থাপনের খরচ সিঙ্গেল ফেজের জন্য ৩৬০ টাকা এবং থ্রি ফেজের জন্য ৮৪০ টাকা।
শিল্প সংযোগের খরচ লোডের উপর নির্ভর করে। ১ কিলোওয়াটের জন্য মিটার সিকিউরিটি ডিপোজিট ২৪০ টাকা। ২ কিলোওয়াটের জন্য ৪৮০ টাকা।
ভোল্টেজ রূপান্তরের খরচ ১ কিলোওয়াটের জন্য ১৮০ টাকা। ২ কিলোওয়াটের জন্য ৩৬০ টাকা।
- সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত চার্জ: ১ কিলোওয়াটের জন্য ২৪০ টাকা
- ২ কিলোওয়াটের জন্য ৬০০ টাকা (১৫% ভ্যাট সহ)
সৌর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদনকারীকে বিদ্যুৎ অফিসের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এতে জোনাল অফিস, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন এবং গ্রামের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সংযোগের স্থান থেকে বিদ্যুৎ লাইনের দূরত্ব নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, তারা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এটি খরচ কমাবে এবং পরিবেশকে কম চাপ দেবে।
সংযোগের ধরন অনুযায়ী ক্ষমতার সীমা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে। ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫-১০ কিলোওয়াট, মাঝারি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০-৫০ কিলোওয়াট এবং বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ কিলোওয়াটের বেশি ক্ষমতার সংযোগ দেওয়া হবে।
প্যানেল স্থাপনের প্রযুক্তিগত বিবরণ
সৌর প্যানেল স্থাপনের ক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তিগত নির্দেশনা রয়েছে:
- প্যানেলের ঢাল ২০-৩০ ডিগ্রি হতে হবে
- দক্ষিণমুখী স্থাপন করতে হবে
- ছায়ামুক্ত জায়গায় স্থাপন করতে হবে
- প্যানেলের উচ্চতা কমপক্ষে ১০ ফুট হতে হবে
এই নির্দেশনা মেনে চললে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারবে। সাথে সাথে পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহার করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।
নেট মিটারিং সিস্টেমের বিস্তারিত
নেট মিটারিং একটি প্রযুক্তি যা বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সাহায্য করে। এতে একটি বিশেষ বিদ্যুৎ মিটার ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ পরিমাপ করে।
এই পদ্ধতিতে, বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন করতে হয়। এর জন্য কমপক্ষে ১০০০ বর্গফুট জায়গা লাগে। সৌর প্যানেল থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে পাঠানো হয়। পরে এটি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় হিসাব করা হয়।
- সংযোগ বিন্দু থেকে সার্ভিস ড্রপের দূরত্ব ১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে
- মোট লোড ৮০ কিলোওয়াটের বেশি হলে বিশেষ নিয়ম প্রযোজ্য হবে
- আবেদনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংযোগ বিন্দুর ছবি সংযুক্ত করতে হবে
নেট মিটারিং সিস্টেম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী। এটি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক।
বিদ্যুৎ সংযোগের জামানত ও খরচ
বিদ্যুৎ সংযোগের খরচ গ্রাহকের ধরন ও লোড অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। নতুন সংযোগের জন্য জামানত গ্রহণ করা হয়। এটি গ্রাহকের শ্রেণী ও লোডের উপর নির্ভর করে।
আবাসিক সংযোগের খরচ
আবাসিক গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ কানেকশন ফি ০.৫০ কিলোওয়াট পর্যন্ত লোডের জন্য ৫০০ টাকা। ০.৫০ থেকে ১ কিলোওয়াট লোডের জন্য জামানত ৬০০ টাকা। আবাসিক বাড়ির বৈদ্যুতিক তারের ন্যূনতম শ্রমিক মজুরি ১২০ টাকা।
বাণিজ্যিক সংযোগের খরচ
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের মাসুল ভিন্ন। ৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত লোডের জন্য সংযুক্ত লোডের বন্ড বা বিদ্যুৎ ট্যারিফ অনুযায়ী জামানত নির্ধারণ করা হয়। বাণিজ্যিক সংযোগের পুনঃসংযোগ ফি ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
শিল্প সংযোগের খরচ
শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের খরচ বেশি। ১ কিলোওয়াট পর্যন্ত লোডের জন্য জামানত ৬০০ টাকা। এরপর প্রতি কিলোওয়াটের জন্য ২০০ টাকা করে বাড়ে। শিল্প সংযোগের বৈদ্যুতিক তারের ন্যূনতম শ্রমিক মজুরি একক ফেজের জন্য ৪০০ টাকা এবং তিন ফেজের জন্য ৮০০ টাকা।
সকল গ্রাহকের জন্য পাওয়ার ফ্যাক্টর ০.৯৫ এর উপরে রাখতে হবে। এর নিচে নামলে অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। নতুন সংযোগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হতে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় লাগতে পারে।
লাইন নির্মাণ ও মিটার স্থাপন
বিদ্যুৎ লাইন টানা ও মিটার স্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সঠিকভাবে করলেই বিদ্যুৎ সংযোগ সম্ভব। সরবরাহ লাইন নির্মাণের আগে বৈদ্যুতিক পরিকল্পনা করা হয়।
লাইন নির্মাণের জন্য দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়। দূরত্ব বেশি হলে নতুন পোল ও লাইন স্থাপন করতে হয়। অনলাইনে দূরত্ব মাপার ভুল হলে সংযোগ দিতে দেরি হতে পারে।
মিটার স্থাপনের পর প্রথম বিল ইস্যু করা হয়। এক ফেজের আবাসিক/বাণিজ্যিক লোডের জন্য সমীক্ষা ফি ১০০ টাকা। তিন ফেজের জন্য ৩০০ টাকা।
এলটি-এ জামানতের হার ২ কিলোওয়াট পর্যন্ত ৪০০ টাকা। তার উপরে ৬০০ টাকা।
- অস্থায়ী সংযোগের জন্য এলটি এক ফেজের ২৫০ টাকা
- এলটি তিন ফেজের ৫০০ টাকা
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে
নতুন সংযোগের আবেদন ফি মূল্যের উপর নির্ভর করে। সফল আবেদনকারীদের সাত দিনের মধ্যে হাউস ওয়্যারিং ও সোলার ইউনিট স্থাপন করতে হবে।
বিশেষ ক্ষেত্রে সংযোগ প্রক্রিয়া
বাংলাদেশে শিল্প কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বহুতল ভবনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে বিশেষ নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলি মেনে চললে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হয়।
৪৫ কেভিএ এর উর্ধ্বে সংযোগের নিয়মাবলী
উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা লাগে। ৪৫ কেভিএ এর উর্ধ্বে সংযোগের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে:
- বিদ্যুৎ বিভাগের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর অনুমোদন নিতে হবে
- উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সফরমার ও সুইচগিয়ার ব্যবহার করতে হবে
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে
শিল্প কারখানা ও বহুতল ভবনের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
শিল্প কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ ও বহুতল ভবনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে নিম্নলিখিত বিশেষ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে:
- লোড ক্যালকুলেশন সঠিকভাবে করতে হবে
- বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদিত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা নকশা প্রণয়ন করাতে হবে
- অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে
- নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে
এসব নিয়ম মেনে চললে শিল্প কারখানা ও বহুতল ভবনে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। তথ্য অনুযায়ী, সঠিক নিয়ম মেনে চললে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে ৯০% পর্যন্ত বিলম্ব এড়ানো সম্ভব।
পাওয়ার ফ্যাক্টর ও ক্যাপাসিটর ব্যবস্থাপনা
বিদ্যুৎ সংযোগে পাওয়ার ফ্যাক্টর খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিদ্যুৎ ব্যবহারের দক্ষতা নির্ধারণ করে। বাংলাদেশের শিল্প খাতে বৈদ্যুতিক মোটরগুলি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
এই মোটরগুলি শক্তি বিলের ৭০% গ্রহণ করে। ক্যাপাসিটর ব্যবস্থাপনা করে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করা যায়। এটি বিদ্যুৎ বিল ৫০% পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে।
ক্যাপাসিটর নির্বাচনে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করতে হয়। এসি ও ডিসি সার্কিটে ব্যবহৃত ক্যাপাসিটরের ধরন আলাদা।
ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের জীবনকাল ও নির্ভরযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ। সার্কিটের প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ রেটিং অনুযায়ী ক্যাপাসিটর বেছে নিতে হয়।
হাই-ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাপ্লিকেশনে সিরামিক বা ফিল্ম ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা যায়।
শক্তিশালী ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণে ক্যাপাসিটর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। পিসিবি ট্রাবলশুটিং এর মাধ্যমে ক্যাপাসিটর সমস্যা সনাক্ত ও সমাধান করা যায়।
নিয়মিত পরিদর্শন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখলে ক্যাপাসিটরের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে। সঠিক ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ ব্যবহার দক্ষতা বাড়ে এবং খরচ কমে।
FAQ
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কী কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়?
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের সাথে কী কী দলিল দাখিল করতে হয়?
রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য কী নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে?
আবাসিক গ্রাহকদের জন্য সৌর বিদ্যুৎ নিয়মাবলীতে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সৌর বিদ্যুৎ নিয়মে কী বিশেষ শর্তাবলী রয়েছে?
নেট মিটারিং সিস্টেম কী এবং এর সুবিধা কী?
বিদ্যুৎ সংযোগের জামানত ও খরচ কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?
লাইন নির্মাণ ও মিটার স্থাপন প্রক্রিয়া কী?
৪৫ কেভিএ এর উর্ধ্বে সংযোগের জন্য কী বিশেষ নিয়মাবলী রয়েছে?
পাওয়ার ফ্যাক্টর ও ক্যাপাসিটর ব্যবস্থাপনা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সোলার এনার্জি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল কতটা কমানো যায়?
সোলার এনার্জি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল কতটা কমানো যায়? বর্তমানে সোলার এনার্জি ব্যবহার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ব্যবস্থার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। বাড়িতে…
সোলার ব্যাটারি দাম: বাংলাদেশে সেরা প্রাইস লিস্ট
সোলার ব্যাটারি দাম, বাংলাদেশে সেরা প্রাইস লিস্ট। বাংলাদেশে সৌর শক্তি ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। সোলার ব্যাটারি এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা…
সোলার প্যানেল সাইজ নির্বাচন: বাড়ির জন্য উপযুক্ত নির্দেশিকা
সোলার প্যানেল সাইজ নির্বাচন। সৌর শক্তি ব্যবহার দিনে দিন বেড়েছে। বাড়ির জন্য সোলার প্যানেল সাইজ বেছে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি…
সোলার প্যানেল প্রকারভেদ | বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত
সোলার প্যানেল প্রকারভেদ বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত। বাংলাদেশে সৌর শক্তি ব্যবহার করা বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ…
সোলার প্যানেল কার্যকারিতা: বাংলাদেশে সৌর শক্তির ব্যবহার
সোলার প্যানেল কার্যকারিতা বাংলাদেশে সৌর শক্তির ব্যবহার । বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌর শক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামীণ এলাকা থেকে…






