
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সৌরশক্তি ব্যবহার এখন একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। সরকারি সোলার প্যানেল প্রকল্পগুলি দূরবর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এটি জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস বিদ্যুতের চাহিদা মেটাচ্ছে। এটি পরিবেশ সংরক্ষণেও অবদান রাখছে।
গ্রামীণ বাড়ি ও দোকানের ছাদে সোলার প্যানেল দেখা যাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। এটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করছে।
এই পরিবেশবান্ধব উত্স ব্যবহার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছে।
চীনের সাথে সহযোগিতায় দেশে সোলার প্যানেল কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব আসেছে। এটি বাংলাদেশকে সৌরশক্তি উৎপাদনে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে।
এই উদ্যোগ শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই নয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরেও সহায়ক হবে।
মূল তথ্য
- সরকারি সোলার প্যানেল প্রকল্প গ্রামীণ বিদ্যুতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে
- সৌরশক্তি ব্যবহার পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক
- চীনের সাথে সহযোগিতা বাংলাদেশকে সৌরশক্তি উৎপাদনে স্বনির্ভর করতে পারে
- সোলার প্যানেল শিল্প কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে সহায়ক
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার দেশের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক
সরকারি সোলার প্যানেল: একটি পরিচিতি
বাংলাদেশে সৌর শক্তি ব্যবহার দিন দিন বেড়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস যা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকে আকার দিচ্ছে।
সৌরশক্তির মৌলিক ধারণা
সৌরশক্তি হল সূর্যের আলো থেকে উৎপন্ন শক্তি। আবাসিক সৌর প্যানেল এই আলোকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। একটি ১ কিলোওয়াট ক্ষমতার সোলার প্যানেল প্রতিদিন গড়ে ৪.৩২ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।
বাংলাদেশে সোলার প্যানেলের ইতিহাস
বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেম (SHS) গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ SHS স্থাপন করা হয়েছে। তবে ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
বর্তমান অবস্থা ও বাস্তবায়ন
সরকার সূর্যোদয় যোজনার আওতায় প্রায় এক কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ১ কিলোওয়াট সোলার প্যানেল স্থাপনের খরচ প্রায় ৪৭,০০০ টাকা। সরকার ৩-১০ কিলোওয়াট প্যানেলের জন্য ১৮,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিচ্ছে। গত বছর ১২টি নতুন রিনিউএবল সোলার এনার্জি সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সৌর শক্তি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি উজ্জ্বল আশা। এটি শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই নয়, পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশে সৌরশক্তির সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশে সৌর শক্তি উৎপাদন সম্ভব। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রচুর সূর্যালোক এই সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে। জ্বালানি সংকট নিরসনে সৌরশক্তি একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কর ছাড় এবং শুল্কমুক্ত সোলার সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ দিয়েছে। এটি সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
পরিবেশ সুরক্ষার দিক থেকেও সৌরশক্তি গুরুত্বপূর্ণ। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সাহায্য করে।
বৈদ্যুতিক খরচ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও সৌরশক্তি কার্যকর। সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় তৈল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।
সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের মধ্যে তার বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া, সৌর প্যানেলের দীর্ঘ স্থায়িত্ব (২৫-৩০ বছর) এটিকে একটি নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সরকারি সোলার প্রকল্পের সুবিধা ও প্রভাব
সরকারি সোলার প্রকল্পগুলি বাংলাদেশের জন্য অনেক সুবিধা দিচ্ছে। এগুলো দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অর্থনৈতিক সুবিধা
সোলার প্যানেল ব্যবহার করলে জ্বালানি খরচ কমে যায়। ২০২১ সালে প্রায় ২.২৪% লোক সোলার হোম সিস্টেম ব্যবহার করেছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ বিল কমায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬০ লক্ষ বাড়িতে সোলার প্যানেল রয়েছে। এই সিস্টেমগুলি মোট ২৬৩.৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
পরিবেশগত প্রভাব
সোলার প্যানেল পরিবেশবান্ধব জ্বালানির একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এটি বিদ্যুতের বিকল্প উৎস হিসেবে কাজ করে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমে যায়।
ফলে, কার্বন নিঃসরণ কমে এবং বায়ু দূষণ হ্রাস পায়।
সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা
গ্রিন এনার্জি হিসেবে সোলার প্যানেল গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ২০০৯ সালে গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ৪৭% পরিবার জাতীয় গ্রিডের সাথে সংযুক্ত ছিল।
সোলার প্রকল্প এই ব্যবধান কমাতে সাহায্য করেছে। এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উন্নতি ঘটিয়েছে।
সোলার প্যানেল শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ করে না, এটি আমাদের জীবনমান উন্নত করে এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়।
সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তি ও কার্যপ্রণালী
সৌরবিদ্যুৎ প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য একটি আশার আলো। এই প্রযুক্তিতে আলোকসংবেদনশীল সেল ব্যবহার করে সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়। আলোকসংবেশী প্লেট সৌর রশ্মি শোষণ করে এবং তা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে।
সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৌর শক্তি ব্যবহার করলে কার্বন নিঃসরণ ২০% কমবে এবং খরচ সাশ্রয় হবে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সৌরমন্ডল উদ্বায়নী প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। তারা প্রতিদিন ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় বাজার মূল্যের চেয়ে ২৬.৬% কম দামে বিদ্যুৎ কিনতে পারবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৌর শক্তি ব্যবহার করে আগামী পাঁচ বছরে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০% পূরণ করা সম্ভব। এটি দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইংগিত দেয়।
গ্রিড-সংযুক্ত ও অফ-গ্রিড সোলার সিস্টেম
সৌরশক্তি ব্যবস্থায় দুটি মূল পদ্ধতি আছে। এগুলো হল গ্রিড সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ এবং অফ-গ্রিড সৌরবিদ্যুৎ। এই দুটি পদ্ধতি বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। আমরা এখানে এদের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব।
গ্রিড-সংযুক্ত সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য
গ্রিড সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ সরাসরি জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সাথে যুক্ত থাকে। এই ব্যবস্থায় ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় না। সোলার প্যানেল থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ইনভার্টারের মাধ্যমে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের সাথে যুক্ত হয়।
এই পদ্ধতি বিদ্যুৎ বিল ৮০% পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে। প্রতি কিলোওয়াট সোলার সিস্টেম স্থাপনে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলে সাশ্রয় করা যায়।
অফ-গ্রিড সমাধান
অফ-গ্রিড সৌরবিদ্যুৎ স্বাধীনভাবে কাজ করে। এটি গ্রামীণ এলাকায় বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে জাতীয় গ্রিড নেই। ১-৩ কিলোওয়াট অফ-গ্রিড সোলার সিস্টেমের বর্তমান মূল্য প্রায় ৫৮,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা।
এই সিস্টেমে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় যা দিনের বেলায় সঞ্চিত শক্তি রাতে ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
নেট মিটারিং সুবিধা
নেটমিটার অ্যাকাউন্ট গ্রিড-সংযুক্ত সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা যায়। রিটেইল ইউজার এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।
২ কিলোওয়াট, ৫ কিলোওয়াট, এবং ১০ কিলোওয়াট মিটার সহ বাড়িতে এবং স্কুল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, কারখানা ও দোকানে এই সিস্টেম বাস্তবায়ন করা যায়।
পৃথিবীর প্রতিটি বর্গমিটারে সূর্য প্রায় ১ হাজার ওয়াট বিদ্যুৎ শক্তি বর্ষিত করে। এই অফুরন্ত শক্তি ব্যবহার করে আমরা আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে পারি।
সরকারি নীতিমালা ও প্রোত্সাহন
বাংলাদেশ সরকার সৌরশক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্য রেখেছে। বিভিন্ন নীতি ও প্রোত্সাহনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এতে সরকারি অনুদান, কর ছাড় এবং বিশেষ সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, দেশের ৪০% বিদ্যুৎ উৎপাদন নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে করা হবে। এই লক্ষ্যে আলোকশক্তি অনুদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কোন ক্যাপাসিটি পেমেন্ট এবং জ্বালানি খরচ নেই। এটি সৌরশক্তি ব্যবহারে উৎসাহ যোগাবে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আদালত, হাসপাতাল, রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বড় আকারের সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে, সম্প্রতি পিডিবি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে সৌর প্যানেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার নতুন সম্ভাব্য প্রকল্প ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে।
আমরা সৌরশক্তিকে জাতীয় উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে দেখছি। এর মাধ্যমে আমরা পরিবেশ রক্ষা করব, অর্থনৈতিক সুবিধা পাব এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারব।
সরকারের এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও পরিবেশবান্ধব দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।
চ্যালেঞ্জ ও সমাধান
সৌরশক্তি ব্যবহারে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এগুলো সমাধানের জন্য সরকার এবং বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। আমরা এখানে দেখাব কী কী চ্যালেঞ্জ আছে এবং কীভাবে সেগুলো মোকাবেলা করা যাচ্ছে।
কারিগরি চ্যালেঞ্জ
সোলার প্যানেল স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে কারিগরি চ্যালেঞ্জ আছে। রাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন না হওয়া একটি বড় সমস্যা। এনার্জি ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে গবেষণা চলছে।
পানির উপর সোলার প্যানেল স্থাপনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। এটি ১২৪টি দেশের ৬,২৫৬টি শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।
আর্থিক বাধা
সোলার প্যানেল স্থাপনের প্রাথমিক খরচ বেশি। ব্যাটারি সংরক্ষণও ব্যয়বহুল। আর্থিক বাধা কাটিয়ে উঠতে সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২০,৫৫৯ মেগাওয়াট। প্রায় ১,৫০০টি বস্ত্র শিল্পে ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে।
সম্ভাব্য সমাধান
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নানা সম্ভাব্য সমাধান উদ্ভাবিত হচ্ছে। দক্ষতা বৃদ্ধি ও খরচ কমানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। ২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ১০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ সরকার সৌরশক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। পার্বত্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। বড় আকারের সোলার পার্ক স্থাপনার পরিকল্পনা রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সৌরশক্তির গুরুত্ব বোঝা হচ্ছে। সৌরশক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি আনয়ন করা হচ্ছে।
সরকার নেট মিটারিং নির্দেশিকা-২০১৮ অনুসরণ করে শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের অনুমোদিত লোডের ১০% ক্ষমতার সোলার সিস্টেম স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছে। আবাসিক সংযোগের ক্ষেত্রে সার্ভিস ড্রপের দূরত্ব ১৩০ ফুটের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে।
সৌরশক্তি ব্যবহার এবং কৃষি উন্নয়নে নানা প্রকল্প চলছে। ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-II প্রকল্পের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ১০-১৫% বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
সমাপ্তি
সরকারি সোলার প্যানেল প্রকল্প বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে একটি নতুন দিগন্ত খুলেছে। এটি উচ্চ সক্ষমতা সম্পন্ন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদান করেছে। এটি গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
কিন্তু, এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল পেতে উপকারভোগীদের ৫,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এছাড়া, প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, সৌরশক্তি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে ৪০,০০০ হোম সিস্টেম ও ২,৫০০ কমিউনিটি সিস্টেমে সোলার প্যানেল স্থাপনের লক্ষ্য নিয়েছে। এটি জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০% সৌরশক্তিতে রূপান্তরের পথে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
FAQ
সরকারি সোলার প্যানেল প্রকল্পের প্রধান সুবিধাগুলি কী কী?
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে?
গ্রিড-সংযুক্ত ও অফ-গ্রিড সোলার সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য কী?
সৌরশক্তি ব্যবহারে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি কী কী?
সরকার কীভাবে সৌরশক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করছে?
সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে?
সোলার এনার্জি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল কতটা কমানো যায়?
সোলার এনার্জি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল কতটা কমানো যায়? বর্তমানে সোলার এনার্জি ব্যবহার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ব্যবস্থার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। বাড়িতে…
সোলার ব্যাটারি দাম: বাংলাদেশে সেরা প্রাইস লিস্ট
সোলার ব্যাটারি দাম, বাংলাদেশে সেরা প্রাইস লিস্ট। বাংলাদেশে সৌর শক্তি ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। সোলার ব্যাটারি এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা…
সোলার প্যানেল সাইজ নির্বাচন: বাড়ির জন্য উপযুক্ত নির্দেশিকা
সোলার প্যানেল সাইজ নির্বাচন। সৌর শক্তি ব্যবহার দিনে দিন বেড়েছে। বাড়ির জন্য সোলার প্যানেল সাইজ বেছে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি…
সোলার প্যানেল প্রকারভেদ | বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত
সোলার প্যানেল প্রকারভেদ বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত। বাংলাদেশে সৌর শক্তি ব্যবহার করা বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ…
সোলার প্যানেল কার্যকারিতা: বাংলাদেশে সৌর শক্তির ব্যবহার
সোলার প্যানেল কার্যকারিতা বাংলাদেশে সৌর শক্তির ব্যবহার । বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌর শক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামীণ এলাকা থেকে…








